Wednesday, November 20, 2013

ল্যাম্পপোষ্টের আলোয়


ওকে আমি যখন প্রথম দেখি তখন রাত প্রায় ১২টা ছুঁইছুঁই করছে। বিজয় সরনীর রাস্তার মোড়ে একা দাঁড়িয়ে ছিলো ।ল্যাম্পপোষ্টের হলুদ আলোয় খুব বেশি সাধারন মেয়েই মনে হচ্ছিলো সবকিছুতেই গ্রাম্যতার ছাপ স্পষ্ট। চোখ ফিরিয়ে নিতে নিতেও আটকে গেলো। ছোট্ট নাকটিতে বসে থাকা বিশাল নাকফুলটি কিংবা দুচোখের নিচে লেপ্টে যাওয়া কাজল সবকিছু বদলে দিলো। মনের ভ্রম নাকি হলুদ আলোর মোহ আমি জানিনা কারন একটু পরেই আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় ঢাকা এই শহরের পিচঢালা রাস্তায় আমি হাঁটছি, সাথে আছে এক হলুদ পরী। আকাশ থেকে মাটিতে নেমে পথ হারিয়েছে কিছু বলতে পারছে না যাই জিজ্ঞেস করি সে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদছে। কান্না থামাতেও বলতে পারছি না

Monday, November 11, 2013

বেচে থাকুক ট্রাফিক জ্যাম(২য় পর্ব)


পরেরদিন অফিস শেষ করে দ্রুত তড়িঘড়ি বাস কাউন্টারে চলে এলাম। যদি তার দেখা পাওয়া যায়। দুই ঘন্টা অপেক্ষা করলাম সেই রোদের মধ্যে, কিন্তু তার দ্যাখা নেই। মনে মনে নিজেকে বকছি, কেন গতকাল অফিস ছুটির টাইমটা জেনে রাখলাম না। শেষে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে বাসায় ফিরলাম।
বাসায় ফিরে হাজার বার শপথ করার পরও পরদিন আবার আগে আগে বাস কাউন্টারে চলে এলাম। আজকে ভাগ্য সুপ্রসন্ন। দেখি সে আসছে। আমি ডাকব ডাকব করতেই সে-ই আমাকে দেখে ফেলল।
- কি খবর, ভালো আছেন?

বেচে থাকুক ট্রাফিক জ্যাম(১ম পর্ব)


‘জ্যামে পড়লে মানুষ কেন যে বিরক্ত হয়। আমার কিন্ত ভালই লাগে।’
কথা শুনে রাগে পিত্তি জ্বলে গেল আমার। বক্তা আমার পাশের সীটের ভদ্রলোক। এপ্রিলের প্রচন্ড গরমে ট্রাফিক জ্যামে আটকে আছি। বাসে চড়েছি মিরপুর থেকে যাব মতিঝিলে।এখন আছি ফার্মগেটে।এতটুকু আসতেই প্রায় ৪৫ মিনিট পার হয়ে গেছে। এখানে আটকে আছি মনে হচ্ছে ঘন্টা খানেক। আসলে ৫ মিনিট ও হয়নি। গরমে পুরো শরীর ঘেমে গেছে এবং নানান বিশ্রী জায়গায় চুলকাচ্ছে। কিন্ত চুলকাতে পারছিনা। কারণ এই ব্যাটা ভালোই মোটা। নিজেরটা ছাড়াও আমার সীটেরও খানিকটা দখল করে ফেলেছে।এর মধ্যে এই কথা শুনলে কার ভাল লাগে?
মনে মনে বললাম, ‘ ব্যাটা তোর ভাল লাগে, তুই সারা জীবন জ্যামে বসে থাক, আমি থাকতে পারব না,আমার ভাল লাগেনা।’