Sunday, April 5, 2015

শুধু তোমার জন্য


শুধু তোমার জন্য এখন 
কত স্বপ্ন দেখে এ মন 
যদি তুমি ভুলে যাও এ মনে ব্যাথা দাও
বাঁচবে না তো এ জীবন

শুধু তোমার জন্য এখন 
কত স্বপ্ন দেখে এ মন (২)

হৃদয়ে তোমার ছবি 
এ বুকে তুমি
কি করে বোঝায় 
কত ভালবাসি আমি 
যদি তুমি দূরে যাও 
এ মনে ব্যাথা দাও 
বাঁচবে না তো এ জীবন

হাজার বছর যদি পাই গো সময় 
এ মনে তুমি রবে আর কেও নয়

যদি তুমি ভুলে যাও এ মনে ব্যাথা দাও 
বাঁচবে না তো এ জীবন

শুধু তোমার জন্য এখন 
কত স্বপ্ন দেখে এ মন (২)



Saturday, May 31, 2014

অতঃপর বৃষ্টিদিন.. (প্রথম পর্ব)

তিনবছর পর তন্ময়ের সাথে ঠিক এভাবে দেখা হবে ভাবিনি।প্রচন্ড চমকে গিয়েছিলাম আমি।ওকে প্রথম দেখি কোচিং ক্লাসে,সবে এসএসসি দেব তখন।
আমাদের স্কুলে একজন নামকরা ম্যাথ টিচার ছিল যার কাছে আশেপাশের অনেক স্কুলের ছেলেমেয়েরা পড়তে আসত।তন্ময় ছিল আমাদের স্কুলের কম্পিটিটর বয়েজ স্কুলের টপার।
ভালো ছাত্র বলে স্যারের মুখে ওর নাম আগেই শুনেছিলাম সত্যি বলতে স্যারের কাছে বারবার ওর মতো হবার উপদেশ শুনতে শুনতে একরকম বিরক্তই ছিলাম ওর ওপর।
পরীক্ষা তখন বেশ কাছে,একদিন স্যার ঘোষনা দিলেন যে তিনি তার কোচিং এর সব স্টুডেন্টের একটা ক্লাসটেস্ট নেবেন আর তার মধ্যে সেরা বিশজনকে নিয়ে স্পেশাল ব্যাচ বানানো হবে।

অতঃপর বৃষ্টিদিন.. (শেষ পর্ব)

এরপর শুরু হলো যুদ্ধ,নিজের সাথে।মন ও মস্তিষ্কের বৈপরত্বে ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলাম আমি সাথে সবার সামনে থাকার নিখুঁত অভিনয় করে যাওয়া।অনেকটাই গুটিয়ে গিয়েছিলাম নিজের মধ্যে। ফেসবুকেও বসা হতনা আগের মতো তাই তন্ময়ের সাথে যোগাযোগও কমে গিয়েছিল। তবে আমার এই পরিবর্তনে তন্ময়কে ফাঁকি দেয়া সহজ ছিলনা।ওই ঘটনার দুদিন পরের
এক সন্ধ্যায় ও ফোন দিয়ে বসল।ওর গলা শুনে এলোমেলো লাগছিল সবকিছু।
শক্ত হলাম।ক্লাস পরীক্ষা আরো শতশত অজুহাত দেখালাম আমার ব্যস্ততার।
কঠিন সুরে বোঝালাম যেন আমাকে আর ফোন না দেয় তাতে আমার পড়াশোনার ক্ষতি হবে।জানি আমার সেদিনের ব্যবহারে অনেক অবাক হয়েছিল ও কিন্তু আমার তো এমন করতেই হতো। আমাকে আমার ভুল তো শোধরাতেই হতো।এভাবে চলে গেল সপ্তাহখানেক।নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম আমি তখনও কিন্তু সেই ব্যর্থ চেষ্টাকে আরো ব্যর্থ করে দিতেই মনে হয় খবর পেলাম বড়আপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে।

Tuesday, February 18, 2014

ইচ্ছের গল্প - মিফতাহ্ জামান


জানি তুমি নও আমার তবু ভাবতে ভালো লাগে
তুমি নও কারো আর শুধু যে আমার।
ভালোবাসো আর নাইবা বাসও তবু ভাবতে ভালো লাগে
তোমার মনের ওই চোরাকুঠুরি শুধু যে আমার।
চাইব সুখের মেঘ বৃষ্টি হয়ে সিক্ত করুক তোমাকে
তোমার চোখের নিচে কান্নার দাগ মুছে যাবে শ্রাবণজলে।
তবু জানতে ইচ্ছে হবে, তবু শুনতে ইচ্ছে হবে
আমায় কি কখনও মনে করেছিলে একফোঁটা আঁখিজলে
শ্রাবণের সে অঝোর ধারায় ভিজতে কি চাইতে আমার এ হাতটি ধরে।
বলব প্রিয় মুখগুলো এঁকে মুছে ফেল আমাকে
স্বপ্নের মতো করে সাজাও তুমি তোমার আপন পৃথিবীকে
তবু মন চাইবে জানতে, তবু মন চাইবে শুনতে
স্বপ্নজগতের সে দুয়ার ঠেলে আসতে দেবে কি আমাকে

জীবনের কোন চেনা পথের পানে তাকিয়ে একবারও কি খুঁজবে আমাকে... 

Wednesday, December 4, 2013

‘অপেক্ষার প্রহর শেষে’ (পঞ্চম এবং শেষপর্ব)

গাছের উপর যখন ঝড়ের আঘাত আসে তখন তার ডালপালা উঁড়িয়ে নিয়ে যায়। একটা সময়ের পর আস্তে আস্তে গাছে নতুন পাতা গজায়। গাছের ডাল-পালা বিস্তৃত হয়। কিন্তু ঝড়ের আঘাত যখন গাছটাকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলে, তখন গাছের মৃত্যু হয়।

রুপমের জীবনে একটার পর একটা ঝড় এসেছে। শেষ ঝড়টা যেন তাকে কুপোকাত করে দিয়ে গেছে। বেঁচে আছে এখনো কিন্তু একে ঠিক বেঁচে থাকা বলেনা। স্বপ্নের মৃত্যু মানে আত্নার মৃত্যু। আত্নার মৃত্যু হলে উপরে খোলসটা রয়ে যায় কিন্তু ভেতরটা কেমন যেন নির্জীব হয়ে পড়ে। কোন ব্যাপারে উৎসাহ কাজ করেনা। সুন্দর গুছানো জীবনটা চোখের পলকে একটু একটু করে ক্ষয়ে যায়। একে ঠিক মৃত্যু বলেনা। তবে এটি মৃত্যুরই আরেকটি রুপ।

‘অপেক্ষার প্রহর শেষে’ (চতুর্থ পর্ব)

কালো দীর্ঘ দেয়ালে যখন সূর্‍্যের আলো পরে হঠাৎ করে তাকে দেখে কালো না মনে হলেও সে কালোই থাকে। সীমানার বাহিরের মানুষ গুলো হয়তো তাদের দুরবর্তী চোখ দিয়ে কাউকে দেখে সুখী ভাবে, অথবা ভাবে সুখ ওই রকম। কিন্তু প্রতিটা অস্তিত্ব একিরকম টানাপোড়নে থাকে। আর সুখ! সে সবার হাতের মুঠোয় আলোর মত লুকোচুরি খেলে। মুঠো খুলে রাখতে হবে যাতে তাতে আলো টুকু পড়ে, বন্ধ করলেই হারিয়ে যাবে। ধরা যাবে না!

‘অপেক্ষার প্রহর শেষে’ (তৃতীয় পর্ব)

হঠাত্‍ করেই হাসিখুশি আনুভার মনটা বিষাদের কালো ছায়ায় ঢেকে গেল। সারাটা দিন চুপিচুপি দরজা বন্ধ করে একা বসে কেঁদেছে, সন্ধ্যা হয়ে আসছে, তার কিছুই ভালো লাগছে না। তার কাছে মনে হচ্ছে সব মিথ্যা, রুপমের মতো হাবাগোবা ছেলে কখনও এরকম হতে পারে না। আবার ভাবে, হাবাগোবা চেহারার মুখোশের আড়ালে হয়ত আসল কালো চেহারাটা লুকিয়ে আছে তাই এমন কাজ করেছে। আনুভা কিছু ভাবতে পারছে না, তার মাথায় কিছুই কাজ করছে না, যতই ভাবছে ততই কান্না পাচ্ছে। হঠাত্‍ করে তার মাথায় আসল, আচ্ছা আমি কাঁদছি কেন? এ প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর পেল না। রূপম তার কে হয়? রূপমের জন্যে সে কাঁদবে কেন? রূপম যা ইচ্ছা করুক তার কি আসে যায়! তবুও সে নিজেকে সান্তনা দিতে পারল না, হু হু করে কাঁদতে লাগল। তার বুকে কোন কিছু হারিয়ে ফেলার তীব্র বেদনা আঘাত করছে, এ যেন প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলার মতো বেদনা।

"অপেক্ষার প্রহর শেষে" (দ্বিতীয় পর্ব)

'তুমি আমার প্রথম সকাল,
সারাটি বিকেল... একাকী দুপুর বেলা...
তুমি আমার সারা দিনময়...'
আজ সারাদিন গুন গুন করে গেয়েই যাচ্ছে আনুভা। যেন অন্য রকম এক ভালো লাগা তাকে সারাক্ষনই ঘিরে রেখেছে। ভেবে পাচ্ছেনা কেন তার এমন
অনুভূতি হচ্ছে। কেন আজ সব কিছুই অসম্ভব ভালো লাগছে !

"অপেক্ষার প্রহর শেষে" (প্রথম পর্ব)

গ্যালারী দৃক। নিজের তোলা আলোকচিত্রের প্রদর্শনীতে ব্যস্ত সময় কাটছে রুপমের। আগত অতিথিদের সাথে কুশল বিনিময়, ছবি সম্পর্কে নানান কথা কথা বলছে সে। এক দন্ড বসার সময় পাচ্ছে না সে। কিন্তু তারপর ও কিছুক্ষণ পরপর গ্যালারীর প্রবেশ পথের দিকে দৃষ্টি বুলিয়ে নিচ্ছে সে। প্রদর্শনীর আজকেই শেষ দিন। তার আশা মেয়েটি আজও আসবে। গত চারদিন ঠিক সন্ধ্যে ৭টায় মেয়েটিকে দেখেছে সে। আধা ঘন্টা ঘুরে ফিরে সব গুলো ছবি দেখে। তার সঙ্গে প্রতিবার কেউ না কেউ একজন থাকে। হয়তো তার কোন বান্ধবী। প্রথম দিন ই তার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছেটা অনেক কষ্টে দমন করে রুপম। এরপর বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সাহস করে উঠতে পারে নি। আজ সে ঠিক করেছে যে করেই হোক কথা বলবে। টানা চারদিন মেয়েটি তার ছবি দেখে এসেছে, নিশ্চয় খুব পছন্দ করেছে বলেই।

Wednesday, November 20, 2013

ল্যাম্পপোষ্টের আলোয়


ওকে আমি যখন প্রথম দেখি তখন রাত প্রায় ১২টা ছুঁইছুঁই করছে। বিজয় সরনীর রাস্তার মোড়ে একা দাঁড়িয়ে ছিলো ।ল্যাম্পপোষ্টের হলুদ আলোয় খুব বেশি সাধারন মেয়েই মনে হচ্ছিলো সবকিছুতেই গ্রাম্যতার ছাপ স্পষ্ট। চোখ ফিরিয়ে নিতে নিতেও আটকে গেলো। ছোট্ট নাকটিতে বসে থাকা বিশাল নাকফুলটি কিংবা দুচোখের নিচে লেপ্টে যাওয়া কাজল সবকিছু বদলে দিলো। মনের ভ্রম নাকি হলুদ আলোর মোহ আমি জানিনা কারন একটু পরেই আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় ঢাকা এই শহরের পিচঢালা রাস্তায় আমি হাঁটছি, সাথে আছে এক হলুদ পরী। আকাশ থেকে মাটিতে নেমে পথ হারিয়েছে কিছু বলতে পারছে না যাই জিজ্ঞেস করি সে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদছে। কান্না থামাতেও বলতে পারছি না