শাফায়াত হাতের ঘড়িটা দেখল। কাঁটাটা ঝাপসা; তবে সময়টা আন্দাজ সাড়ে সাতটা হবে। চশমা পরার প্রয়োজন মনে করলো না। তার কাছে রুগীই আসেনা যে রুগী দেখার জন্য চশমা পরতে হবে। চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে হাতের কাছের সুইচ বন্ধ করে দিল। ঘরের সিএফএল লাইটটা বন্ধ হয়ে গেল; কিন্তু ডিম লাইটটা ঘোলা লাল একটা আভা তৈরী করল। এই আলো-আঁধারী পরিবেশ যে শাফায়াতের খুব প্রিয় তা না। তার ভাল লাগে ঘুটঘুটে অন্ধকার; কারন সেই অন্ধকারে কেউ তাকে দেখতে পায়না। এই ফালতু রোম্যান্টিক আবছা টিমটিমে আলো দিয়ে রাখা লাগে জাহিদের জন্য। জাহিদ ক্লিনিকের বয়ের কাজ করে; কোন পেশেন্টের ল্যাব টেস্টের রেজাল্টের দরকার হলে শাফায়াতের কাছে আসে। এই সামান্য কাজটা করতে গিয়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে কয়েকবার জাহিদ উষ্টা খেয়েছে; সেই থেকে টিমটিমে আলোর ব্যাবস্থা।
Tuesday, October 8, 2013
সেই মুখ
শাফায়াত হাতের ঘড়িটা দেখল। কাঁটাটা ঝাপসা; তবে সময়টা আন্দাজ সাড়ে সাতটা হবে। চশমা পরার প্রয়োজন মনে করলো না। তার কাছে রুগীই আসেনা যে রুগী দেখার জন্য চশমা পরতে হবে। চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে হাতের কাছের সুইচ বন্ধ করে দিল। ঘরের সিএফএল লাইটটা বন্ধ হয়ে গেল; কিন্তু ডিম লাইটটা ঘোলা লাল একটা আভা তৈরী করল। এই আলো-আঁধারী পরিবেশ যে শাফায়াতের খুব প্রিয় তা না। তার ভাল লাগে ঘুটঘুটে অন্ধকার; কারন সেই অন্ধকারে কেউ তাকে দেখতে পায়না। এই ফালতু রোম্যান্টিক আবছা টিমটিমে আলো দিয়ে রাখা লাগে জাহিদের জন্য। জাহিদ ক্লিনিকের বয়ের কাজ করে; কোন পেশেন্টের ল্যাব টেস্টের রেজাল্টের দরকার হলে শাফায়াতের কাছে আসে। এই সামান্য কাজটা করতে গিয়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারে কয়েকবার জাহিদ উষ্টা খেয়েছে; সেই থেকে টিমটিমে আলোর ব্যাবস্থা।
Monday, October 7, 2013
একজোড়া আবেগের গল্প
প্রথম দৃশ্য ঃ
ছেলেটা হাউমাউ করে কাঁদছে। অথচ কোন শব্দ আসছে না, দু’হাতে যে মুখ চেপে ধরা। শব্দ আসবে কিভাবে? সমস্ত শরীরে ছোপ ছোপ রক্ত। কিছু রক্ত ভেসে যাচ্ছে উষ্ণ কান্নাজলে। ১৬ বছরের চঞ্চল ছেলেটা কান্না থামিয়ে দিচ্ছে আস্তে আস্তে। সেই সাথে বাড়ছে মেঝেতে রক্তের প্রবাহধারা। সামনের মৃদু আলো নিভে যাচ্ছে একটু একটু করে, অনেক। তারপর - - - - তারপর কেবল শরীরজুড়ে শীতল নিথরতা। বাহিরে হঠাৎ মেঘ ডেকে উঠল অপরিচিত গর্জনে।
ছেলেটা হাউমাউ করে কাঁদছে। অথচ কোন শব্দ আসছে না, দু’হাতে যে মুখ চেপে ধরা। শব্দ আসবে কিভাবে? সমস্ত শরীরে ছোপ ছোপ রক্ত। কিছু রক্ত ভেসে যাচ্ছে উষ্ণ কান্নাজলে। ১৬ বছরের চঞ্চল ছেলেটা কান্না থামিয়ে দিচ্ছে আস্তে আস্তে। সেই সাথে বাড়ছে মেঝেতে রক্তের প্রবাহধারা। সামনের মৃদু আলো নিভে যাচ্ছে একটু একটু করে, অনেক। তারপর - - - - তারপর কেবল শরীরজুড়ে শীতল নিথরতা। বাহিরে হঠাৎ মেঘ ডেকে উঠল অপরিচিত গর্জনে।
বাস্তব ভালবাসা
শাহাদত বিশাল এক ফ্ল্যাট বাড়ির সামনে খাম্বার মত দাঁড়িয়ে আছে।অনেকক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার কারনে নিজেকে সবসময় খাম্বা খাম্বা মনে হয় তার।খাম্বা হতে ভাল লাগছে না এখন তার কারন পিচ ঢালা রাস্তায় যে রোদ পড়েছে তাতে খাম্বাবেশী শাহাদত কেন রাস্তার পিচ পর্যন্ত গলে যাচ্ছে।এই রোদকে পিচ গলানো রোদ বলে আর সেখানে শাহাদতের খাম্বা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার ইচ্ছে ভুলেও আসার কথা না মাথায়।সে ইচ্ছে করলে বাড়িটার ভেতর ঢুকতে পারে অনায়াসে।গেটে দাঁড়ানো দারোয়ান মোটা গোফওয়ালা রমিজ মিয়া তাকে কিছুই বলবে না কারন সে এই বিরাট বাড়ির কেয়ারটেকার।কিন্তু সে যাবে না তার ছোট্ট রুমে।সে কারো জন্য অপেক্ষা করছে।সে নীচে নামবে আর সে হাসিমুখে বলবে,শাহাদত ভাই একটা রিক্সা ডেকে দেন না ।তারপর হয়তোবা মধুর কিছু বকা দিবে।বকাগুলো শাহাদতের কাছে সবসময় মধুর মনে হয়।শাহাদত এই ডাকটা আর বকাটা শোনার জন্য দেড় ঘন্টা যাবত দাঁড়িয়ে আছে।ভেতরে লিফটের দিকে সে বার বার তাকাচ্ছে। নাহ লিফট তো আট তলায় যাচ্ছে না।বড্ড অস্থির লাগছে শাহাদতের তবে কি আজ নুহা যাবে না ভার্সিটিতে?ঐ যে নামছে লিফট এটা নিশ্চয়ই নুহা।শাহাদত রিক্সার দিকে হাক দিল,
Sunday, October 6, 2013
এক ঠোঙ্গা বাদাম ও একটি হলেও হতে পারত ব্রেকআপ
রুবাই বাদাম চিবুচ্ছে। ঘনঘন এবং খুব দ্রুত। চোখের পলক পড়ার আগেই বাদাম ঠোঙ্গা থেকে বের হচ্ছে,খোসামুক্ত হচ্ছে তারপর মুখে চালান হয়ে যাচ্ছে। হাত,মুখ, এবং চোখ- কোনটাই বিশ্রাম পাচ্ছেনা এক মূহুর্ত। লম্বা সরু আঙ্গুলগুলো বাদামের খোসা ছাড়াতে ব্যস্ত, মুখ ব্যস্ত তা চিবোতে। আর চোখজোড়া ক্ষণে ক্ষণে আরও লাল হচ্ছে,আরো লাল হচ্ছে। এটা রুবাইর রাগের বহিঃপ্রকাশ। তার ঢাউস হ্যান্ডব্যাগে অন্যান্য জরুরী জিনিসপত্রের সাথে এক ঠোঙ্গা বাদাম থাকবেই সবসময়। কারণ, রাগ হলে বাদাম চিবুনো চাই ই তার। নইলে অন্য কারো মাথা বাদামের খোসার মত ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্য কারো বলতে যার উপর তার রাগ হয় ,তার।
Saturday, October 5, 2013
Thursday, October 3, 2013
আমি তোমার জন্য লিখি
চিঠি
চিঠিটা তোমাকে দেয়ার ব্যাপারে এতদিন মনের সাথে অনেক বোঝাপড়া করেছি।একবার মনে হয়েছে চিঠি একথাগুলো তোমার জানা দরকার। আবার এটাও মনে হয়েছে আমি যে আবেগ , যে ভালবাসা নিয়ে একথা গুলো লিখছি তুমি কি সেইরকম আবেগ কিংবা ভালবাসা দিয়ে আমার কথাগুলোর মূল্যায়ন করবে?কিন্তু চিঠিটা তোমাকে লেখার ব্যাপারে যত যুক্তিই দাঁড় করাই না কেন,আমার আবেগের কাছে সব যুক্তিই হাওয়া।আমি তোমাকে অনেকগুলো কথা জানাবো বলেই লিখছি।
হয়ত আর লেখা হবে না।ইচ্ছে হলেও লিখব না।মনকে এতদিন সেভাবে তৈরী করেই লিখতে বসেছি।আমি কখনো কাউকে ভালবাসবো ভাবি নি।কিন্তু কখন কিভাবে যে তুমি আমার পুরো মন দখল করে ফেলেছো টেরই পাই নি।তখন মনে হত ভালবাসা ছাড়া বুঝি জীবনের কোন আনন্দই নেই।আমি খুব সাধারন ছেলে হলেও সাধারন কোন কিছুই আমার পছন্দ নয়।আমার এই চরিত্রের জন্য কখনো আনন্দ আবার কখনো কষ্ট পাই।
রূপার রূপ
-ঐ নামে ডাকলে তুমি রাগ কর?
-রাগ করব কেন? আমিও তো তোমাকে জান বলে ডাকি। এমনি জানতে চাইলাম।
-আমার ভাল লাগে। তাছাড়া ঐ নামটা আমার কাছে অনেক দামী।তোমাকে খুব মানায়।
-রূপার চেয়ে সোনা তো আরো বেশী দামী।
-হ্যা তা ঠিক। যেকোন জিনিষের স্বার্থকতা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে।তুমি যেভাবে দেখছ তাতে সোনা অনেক দামি। কারো খারাপ দৃষ্টি থাকলে এই শব্দটা একটা গালি।
-হয়েছে হয়েছে আর জ্ঞান দিতে হবে না…
-আমি জ্ঞান দিচ্ছি না। কাউকে জ্ঞান দেবার ক্ষমতা আমার নেই। আমি শুধু তোমাকে রূপা নামে ডাকার কারণটা বলছি।
-আচ্ছা শুনি তাহলে তোমার রূপা রহস্য!
নূপুর বাজে , মনের কোণে
ঝুম বৃষ্টিতে ধুয়ে যাচ্ছে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের সামনের সবুজে মোড়ানো মাঠটা । বৃষ্টিটা উপেক্ষা করেই মাঠের পাশের রাস্তাটা দিয়ে দ্রুত গতিতে সাইকেল ছুটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে একটি ছেলে । ছেলেটার নাম অভিক । এই কলেজেরই ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ।
বৃষ্টির পানিতে ঝাপসা হয়ে যাওয়া চারপাশের পরিবেশটা দেখতে দেখতে সাবধানী গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছিলো অভিক । কিন্তু , সমস্যাটা তৈরি হল আরেকটু সামনে এগোতেই । হঠাৎ করে রাস্তা পার হতে যাওয়া একটা মেয়ে অভিকের সাইকেলের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে যায় । সাইকেলটা কোনরকমে নিয়ন্ত্রণ করে দাঁড়িয়ে যায় অভিক । একটু ভীতু টাইপের ছেলেরা যা করে , অভিকও ঠিক সেই কাজটাই করলো । চারপাশের পরিবেশটা ভালো করে দেখে নিলো ।
নৈশব্দে
প্রায় সাড়ে তিন বছর পর আবার সেই রেস্টুরেন্টটায় আসল নুশেরা। অনেক বদলে গিয়েছে সব,টেবিল আরো বেড়েছে,জায়গাও বেড়েছে অনেকখানি। দেয়ালের রংটাও নতুন করা হয়েছে বোধহয়,পুরোটাই নতুনের মত। সেই বৃষ্টির বিকেলের পর আর এখানে আসা হয়নি নুশেরার। কোনের সেই টেবিলটায়ও বসা হয়নি অনেকদিন। এখনো আছে টেবিলটা,শুধু চাদরটা লাল থেকে নীল হয়েছে,চেয়ারদুটোও এখনো মুখোমুখিই। বদলায়নি ম্যানেজারও,বুড়িয়ে গেছেন কিছুটা। এতদিন পরেও ভুল হয়নি তার,নুশেরা ঢুকতেই সেই চেনা হাসি মুখেই জিজ্ঞাসা করে সে,এতদিন পর আসলেন আপা?ভাই আসবে নাকি?
Subscribe to:
Posts (Atom)